প্রকাশিত: Sun, Dec 10, 2023 11:51 PM
আপডেট: Sat, Jun 28, 2025 9:36 PM

[১]উদ্বোধনের অপেক্ষায় দ্বিতীয় ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউট

সালেহ্ বিপ্লব: [২] দেশি-বিদেশি জাহাজের জন্য দক্ষ নাবিক-ক্রু তৈরি করতে মাদারীপুরে নির্মাণ করা হয়েছে দেশের দ্বিতীয় ও সর্ববৃহৎ ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউট (এনএমআই)। মাদারীপুর দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যাঞ্চল হওয়ায় সরাসরি কয়েকটি জেলার মানুষকে এ সুবিধা দেওয়ার এই জেলায় প্রতিষ্ঠানটি নির্মাণ করেছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। ৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই ইনস্টিটিউট চালু হলে প্রতিবছর দুটি ব্যাচে ৬শ’ তরুণ-তরুণী প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন। বাসস 

[৩] ২০১৮ সালের অক্টোবরে ৮টি প্রকল্পে শুরু হওয়া কাজ শেষ হয় ২০২২ সালের ডিসেম্বরে। এরমধ্যে ছিলো বিদ্যুৎ স্টেশন, ফায়ার ফাইটিং ব্লক নির্মাণ, লাইফ বোট জেটি, প্রশিক্ষণ পুকুর, এলটি ফিডার কেবল, সোলার প্যানেল, মসজিদ এবং শহীদ মিনার নির্মাণ। 

[৪] স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, এটা চালু হলে শুধু এ এলাকাই নয়, দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের ব্যাপক আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হবে। আমরা চাই এটি দ্রুত চালু হোক।

[৫] আরেক বাসিন্দা সেন্টু খাঁ বলেন, এটি চালু হলে এ এলাকা ও তার আশপাশের বেকাররা প্রশিক্ষণ নিয়ে কাজ করতে পারবে। এটি বেকারত্ব দূর করবে। পাশাপাশি বিদেশের জাহাজে চাকুরি করতে পারলে দেশের রেমিট্যান্সও বাড়বে। 

[৬] বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষ গণপূর্ত অধিদপ্তরের মাদারীপুর জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কামরুল ইসলাম জানান, আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউটের সব কাজ শেষ হয়েছে। এখন শুধু উদ্বোধনের অপেক্ষায়।

[৭] ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ক্যাপ্টেন মো. আতাউর রহমান জানান, এনএমআই চালুর লক্ষ্যে অধ্যক্ষ, উপাধ্যাক্ষ, বিভাগীয় প্রধান, হিসাবরক্ষকসহ ৭৩টি ক্যাটাগরিতে মোট ১৮৭ জন জনবলের আবেদন চেয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রনাণয়ে চিঠি দিয়েছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। এটি দেশের দ্বিতীয় ও সর্ববৃহৎ এ প্রতিষ্ঠান। চালু হলে একদিকে এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে। অন্যদিকে দেশের রেমিট্যান্স বাড়াতে কাজ করবে।

[৮] সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী ও  মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খান জানান, প্রশিক্ষণ শেষে যুবক-যুবতীদের দেশি-বিদেশি জাহাজে কাজের সুযোগ করে দিবে সরকার। প্রতিষ্ঠানটিতে আবাসিক ও অনাবাসিক এ দুই ধরনের সুবিধাই রয়েছে।

[৯] দেশের প্রথম মেরিটাইম ইনস্টিটিউট চট্টগ্রামে অবস্থিত। সম্পাদনা : সমর চক্রবর্তী